,

আশাশুনিতে থানা অফিসার ইনচার্জকে জড়িয়ে প্রকাশিত নিউজ সংক্রান্ত থানার ওসি’র বিবৃতি

আহসান উল্লাহ বাবলু,সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের গোদাড়া গ্রামের মৃত জহুরুল সরদারের ছেলে মোঃ ফজলুর রহমান সরদার (৩৫) ও একই গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেন গাজীর ছেলে মুজিবর রহমান (৪৫) সাংবাদিকদের ভুল তথ্য সরবরাহ করে চোরাই মামলার হাত থেকে রক্ষা পেতে ষড়যন্ত্রমূলক থানার ওসি’র বিরুদ্ধে মিথ্যা ভাবে “উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ অনলাইন পত্রিকায়” নিউজ সংক্রান্তে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ গোলাম কবির বিবৃতি দিয়েছেন।

গত ২৭/০৩/২১ তারিখে আমানের বাড়িতে তার দখলীয় সীমানা প্রাচীরের মধ্যে মোমিন গাজী জোরপূর্বক ঘেরা-বেড়া দেয়। পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে আপোষ মিমাংসার প্রতিশ্রুতি দিয়েও ঘেরা-বেড়া তুলে নেয়নি। সেটা গত ২৯/০৩/২১ তারিখে সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সুপ্রভাত পত্রিকায় “ঘরের সামনে বেড়া দিয়ে অবরোধ” শিরোনামে প্রকাশিত হয়। বিষয়টি আপস-মীমাংসার কথা বলে মোমিন গাজী তালবাহানা করতে থাকে তখন সেই সুযোগে মোমিন গাজী বাদী হয়ে গত ১৩ জুলাই আমান ও আমানের স্ত্রীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে কোর্টে চাদাবাজি মামলা করে। যাহার মামলা নং- (১২) ১৩/০৫/২১। এরই প্রেক্ষিতে কালিগঞ্জ সার্কেল মোহাম্মদ জামিল আহাম্মেদ সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন করে অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় ফাইনাল রিপোর্ট দিতে বলেন। সেই মামলার ভয়ে নির্যাতিত আমান সহ আমানের পরিবারের কেউ বাড়িতে না থাকার সুযোগে, মুজিবর, শাহিন, ফজলু, রাকিবসহ আরো কয়েকজন লোকেরা আমানের বাড়িতে চুরি করে। আমান ১ মাস পর বাড়িতে ফিরে তাহার ঘরে চুরি হয়েছে মর্মে আমানের স্ত্রী আসমা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা এজাহার দাখিল করেন। তাহার এজাহারের ভিত্তিতে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ গোলাম কবির তদন্তপূর্বক মামলা রুজু করেন। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফজলু ও মুজিবরকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ফজলুর স্বীকারোক্তিমতে তাহার নিজ ঘর হইতে চোরাইমাল উদ্ধার করা হয়। ফজলু বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে ও জড়িতদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করেন। তাছাড়া গোদাড়া গ্রামের রহিমা খাতুনের ছেলে সোহরাব গাজীকে হাড় ভাঙা জখম করায় মোমিন ও মুজিবর সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রহিমা খাতুন বাদী হয়ে ১৯/০৫/২১ তারিখে মামলা দায়ের করেন যার নাম্বার (১৬)। এছাড়া জানা গেছে, রেজাউলের বিরুদ্ধে ১০ টি, নজরুলের বিরুদ্ধে ৭ টি, মুজিবরের বিরুদ্ধে ৫ টি ও তার ছেলে শাহিনের বিরুদ্ধে ৩ টি, ফজলুর বিরুদ্ধে ৪ টি এবং মোমিনের বিরুদ্ধে ৪ টি মামলা থানায় রয়েছে। চোরাই কাজ অব্যাহত রাখতে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা নিউজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *