,

কপিলমুনিতে এক কলেজ ছাত্রকে গলা কেটে হত্যা

এস, কে আলীম,কপিলমুনি খুলনা।। কপিলমুনিতে এক কলেজ ছাত্রকে খুন করে কপোতাক্ষ নদে ফেলে দেয়া হয়েছে। খুনের সাথে জড়িত ফয়সাল সরদার (২১)নামক এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।তার স্বীকারোক্তিতে সোমবার দুপুরের পর থেকে আকড়ঘাটা এলাকায় কপোতাক্ষ নদে লাশ উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে থানা ও কপিলমুনি ফাঁড়ি পুলিশ।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।পুলিশ সুত্রে জানা যায়, কপিলমুনির শ্যামনগর গ্রামের ছুরমান গাজীর ছেলে কপিলমুনি কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্র আমিনুরকে রাত ৮ টার দিকে উপজেলার গদাইপুর গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে ফয়সাল সরদার আকড়ঘাটা বাজারের পাশে নির্জন এলাকা কপোতাক্ষ নদের পাড়ে নিয়ে যায়।সেখানে ১৫ টি ডিসোপেন নামক ঘুমের ট্যাবলেট মিশ্রিত কোমল পানীয় খাওয়ায়ে আমিনুরকে অচেতন করা হয়। এরপর কাছে থাকা ধারালো দা দিয়ে ফয়সাল গলা কেটে আমিনুরকে খুন করে।খুনের পরপরই লাশ নদীতে ফেলে দেয়া হয়। লাশ নদীতে ফেলে দেয়ার পর ঘাতক ফয়সাল আমিনুরের ফোন দিয়ে তার বাবা ছুরমান গাজীর কাছে আমিনুরের মুক্তিপণ হিসাবে ১৫ লাখ টাকা দাবি করে।এক পর্যায়ে তার বাবা ৬ লাখ টাকা দিতে স্বীকার করলে রাজী হয় ফয়সাল।পর দিন সোমবার পাইকগাছা ব্রীজের নিচে আমিনুরের বাবা ফয়সালকে টাকা দেয়ার সময় পুলিশ ফয়সালকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজেই খুন করেছে বলে ফয়সাল পুলিশের কাছে স্বীকার করে।এছাড়া তারা দুজন প্রায়ই ঘটনাস্থলে বসে মাদক সেবন করতো বলে পুলিশকে জানায় সে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ ওই দিন দুপুর বেলায় আটক ফয়সালকে নিয়ে আকড়ঘাটা বাজারের পশ্চিম দিকে কপোতাক্ষ নদের পাড়ে ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থলে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ রয়েছে। পুলিশ ট্রলার ব্যবহার করে লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।পাইকগাছা থানার ওসি জিয়াউর রহমান ঘটনাস্থলে রয়েছেন।তিনি জানান, লাশ উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *