মোঃসাইমুন হাওলাদার সোলায়মান,বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃউপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীতে এবার আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন কৃষকরা। এ বছর আমন ধানের চারা রোপনের পর থেকেই হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় অধিক ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।জানা গেছে, উপজেলার পৌরসভাসহ ৭ টি ইউনিয়নের এ বছর ১ হাজার ১শত হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষাবাদ হয়েছে। সম্ভাব্য উৎপাদনে লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৪০ হাজার ৫ শত মেট্রিক টন। বিগত বছরগুলোতে মাজরা পোকা,নলি মাছি,পাতা মাছি,পামরী পোকা,চুংগী পোকা,পাতা মোড়ানো পোকা,লেদা পোকা,বাদামী ঘাস ফড়িং,গান্ধি পোকা, ছাতরা পোকা সহ বিভিন্ন ক্ষতিকারক পোকামাকড় থাকলেও এ বছর তা এখন পর্যন্ত ফসলের ক্ষেতে দেখা মিলে নাই। সরেজমিনে মাঠে গিয়ে দেখা গেল, আমন ফসলের মাঠ জুড়ে সবুজ সমাহর। চারি দিকে যেন সবুজের ছোয়া আর ১০-১৫দিনের মধ্যে সবুজ বেষ্টনি সোনালী ধানে ভরে যাবে।ইতোমধ্যে আমনের আগামজাত কোথাও ধান গাছগুলোতে শষ্যে পরিপূর্ন হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে ধান কাটতে শুরু করবে কৃষকরা। এসময় ধান কাটা, মাড়াই করা, সিদ্ধ করা, রোদে শুকানো ও ধান ভাঙানো কাজসহ ব্যস্ত সময় পার করবে।তবে একাধিক কৃষক জানিয়েছে, এবারে ভালো ফলনে মনে আনন্দে ভরে গেছে।উপজেলার বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের কৃষক মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন,এ বছর উপকুল আঞ্চলে পানি বৃদ্বি পাওয়ার কারনে আমাদের বীজতলার ৩০-৫০% বীজ নষ্ঠ হয়ে গেছে। আমরা অন্য
উপজেলা থেকে বীজ ক্রয় করে গাড়িতে আনতে আমাদের খরচ বেড়ে গেছে। ফসলের ভালো দাম পেলে আমরা অবশ্যই লাভবান হব।উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কৃষক মোঃ আঃ কাদের হাওলাদার বলেন, এবার আমনের ফলন ভালো দেখে সত্যি আনন্দে মন প্রান ভরে গেছে। এখন সঠিক সময় ফসল ঘরে তুলতে পারলেই কৃষক পরিবারে আর কোন অভাব থাকবে না।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, এ বছর তুলনামুলক মাঠে বিভিন্ন ক্ষতিকারক পোকা মাকড়ের আক্রমণ কম।পোকামাকড় থেকে রক্ষা পেতে এবার কৃষকদের মাঝেকীটনাশক ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রান্তিক চাষিসহ ১ হাজার ৫ শ জনের মত চাষিকে সরকারি ভাবে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে।তিনি আরো বলেন, এ বছর এ পর্যন্ত কোনো রোগ বালাই দেখা যায়নি। ফলন ঘরে তুলার বাকী সময় আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছর সম্ভাবনাময় আশানুরূপ ফলন পাওয়া যাবে।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply