নিজস্ব প্রতিবেদকঃশ্যামনগর উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সাতনদী পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক আমজাদ হোসেন মিঠু’র বিরুদ্ধে মিথ্যা গায়েবী হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (১৪ মে) শ্যামনগরে বেসরকারি প্রাইভেট হাসপাতাল “পল্লী ক্লিনিকে” অবৈধ ভাবে গর্ভপাত করায় অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারনে সামিরুন খাতুন (২৭) নামে এক প্রসূতি মা ও ৫ মাসের শিশু সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ১০ জন আসামি ও ৩/৪ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে শ্যামনগর থানায় ২৮ নং মামলা করেছে মৃত্যু সামিরুনের স্বামি জাহাঙ্গীর শিকারী।
বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক আমজাদ হোসেন মিঠু বলেন, মামলার বাদী জাহাঙ্গীর শিকারি ও বিবাদী পক্ষ এবং ক্লিনিকের সঙ্গে আমার কোন ভাবে সম্পৃক্ততা নেই। আমি তাদেরকে কখনো দেখিও নি তাদেরকে আমি চিনিও না। সদ্যসমাপ্ত হওয়া ইউপি নির্বাচনে আমার সহধর্মিনী সদর ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসন থেকে নির্বাচন কোরে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। নির্বাচনী প্রতি হিংসা ও সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আমি শ্যামনগরের কিছু মাদক সেবনকারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে তাদের অপকর্ম তুলে ধরে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করি। যাহার কারণে তারা আমাকে বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা মামলা ও হত্যার হুমকি অব্যহত রেখেছিল। আমি তাদের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় একাধিক জিডি করেছিলাম। তাদের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় চাঁদাবাজি, চুরি,ডাকাতি, মাদক,অপহরণ সহ একাধিক মামলা রয়েছে। তারা আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন ও হয়রানি করার লক্ষ্যে গায়েবী মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর জন্য বাদী পক্ষ কে চাপ সৃষ্টি করে তাকে দিয়ে থানায় মামলা করেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার ওসি তদন্ত হাওলাদার সানোয়ার হোসেন বলেন, সাংবাদিকের বিষয়টি আমি শুনেছি এবং কালীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্যার বিষয়টি আমাকে অবগত করেছেন।
কালিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুর রহমান বলেন, মামলার ক্ষেত্রে বাদীপক্ষের স্বাধীনতা থাকে। মামলার এজাহারে ব্যক্তির নাম ঠিকানা ছাড়া সে কি করে এগুলো উল্লেখ থাকে না। আমি বিষয়টি শুনেছি। তবে কেন এমন হলো বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব এবং তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। প্রয়োজনে বিষয়টি নিয়ে আমি আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply