শেখ খায়রুল ইসলাম,পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধি:প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গাপূজার কৈলাসে ফিরলেন দেবী দুর্গা।এই দিনেই দেবী মর্ত্য ছেড়ে ফিরে গেলেন স্বামীগৃহ কৈলাসে।মণ্ডপে মণ্ডপে বিষাদের ছায়া।উলুধ্বনি,শঙ্খ, ঘণ্টা আর ঢাকঢোলের বাজনায় বাজলো দেবী দুর্গার বিদায়ের সুর। পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় উৎসবের শেষ দিন প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় এ উৎসব।সারাদেশের ন্যায় খুলনার পাইকগাছা উপজেলার ১৫৪টি পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্বোবৃহৎ দূর্গোৎসব।এর মধ্যে পাইকগাছা পৌরসভায় ০৬টি,হরিঢালী ইউনিয়নে ১৯টি, কপিলমুনি ইউনিয়নে ১৯টি,লতা ইউনিয়নে ১৬টি,দেলুটি ইউনিয়নে ১৭টি,সোলাদানা ইউনিয়নে ১১টি, লস্কর ইউনিয়নে ১৬টি,গদাইপুর ইউনিয়নে ৫টি,রাড়ুলী ইউনিয়নে ২১টি,চাঁদখালী ইউনিয়নে ১২টি,গড়ইখালী ইউনিয়নে ১২টি সর্বমোট ১৫৪টি পূজামণ্ডপে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। মণ্ডপগুলোতে সকাল থেকে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।বিকেলের দিকে এ উপস্থিতি হয় ভিড়ে পরিণত।উৎসবকে ঘিরে পাইকগাছা উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন পাইকগাছা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাবু সমীকরণ কুমার সাধু ও পূজা উদযাপন কমিটি সাধারণ সম্পাদক বাবু আনন্দ মোহন বিশ্বাস।
তাঁরা জানান,দুর্গোৎসবে করোনা মহামারির প্রভাব কাটিয়ে পদচারনায় মুখরিত হয়েছে মন্দির-মণ্ডপ। উৎসবকে ঘিরে মানুষের মাঝে বিপুল আনন্দ বিরাজ করছে।দেবী মায়ের কাছে প্রার্থনা, দেশ জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার সুখ ও সমৃদ্ধি হোক।
বিজয়ার দিনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে অন্যরকম আবেগ ও মন খারাপ করা এক অনুভূতির সৃষ্টি হয়েছে। দশমী মানেই দুর্গা মায়ের ফিরে যাওয়া।অপেক্ষায় থাকতে হবে আরও একটি বছর।সনাতনী শাস্ত্র অনুযায়ী এবার দেবীদুর্গা জগতের মঙ্গল কামনায় গজে (হাতি) চড়ে মর্ত্যলোকে (পৃথিবী)এসেছেন।এতে করে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঝড় বৃষ্টি হবে এবং শস্য ও ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে স্বর্গে বিদায় নেবেন নৌকায়।যার ফলে জগতের কল্যাণ সাধিত হবে।এমনটা মনে করেন হিন্দুধর্মের অনুসারীরা।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply