ডেস্ক রিপোর্টঃ বিচারে সাজা বা ‘ফাঁসি’ দিয়ে অপরাধ থেকে সমাজকে রক্ষা করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
মঙ্গলবার সন্তান হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। এতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।তিনি ভারত ও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিভিন্ন রায়ের পর্যবেক্ষণ ও সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন শুনানিতে।
শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি বলেন, সেনটেন্স (সাজা), হ্যাংগিং (ফাঁসি) কিন্তু সোসাইটিকে রক্ষা করে না।
ওয়াইফ কিলিং (স্ত্রী হত্যা) কি বন্ধ হয়েছে? এমন প্রশ্ন তুলে প্রধান বিচারপতি বলেন, ওয়াইফ কিলিংয়ে কোনো সাক্ষীও তো লাগে না। প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ) ডাক্তারের রিপোর্ট নিয়ে এলেই হাজবেন্ডের (স্বামী) ফাঁসি, নইলে যাবজ্জীবন। আমার তো মনে হয় এটার একটা পরিসংখ্যান নেওয়া উচিত। ৮০ শতাংশ মামলায় হাজবেন্ডের সাজা হয়। এই যে সাজা হচ্ছে, ফাঁসি হচ্ছে, যাবজ্জীবন হচ্ছে, ওয়াইফ কিলিং কি কমেছে? সুতরাং এটা ভুল ধারণা যে সাজা দিলেই আমরা একদম দুধের মধ্যে ভাসতে থাকব।
শুনানির এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, যেখানে ডেথ সেনটেন্স (মৃত্যুদণ্ড) হবে, সেখানে তো ডেথ সেনটেন্স দিতেই হবে। অর্থাৎ যেখানে অপরাধ মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার মতো, সেখানে আদালতকে মৃত্যুদণ্ড দিতেই হবে।
পরে সর্বোচ্চ আদালত মামলার আসামি মো. জসীম রাড়ির সাজা কমিয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply