,

কপিলমুনি ও পার্শবর্তী এলাকায় করোনার মাঝে জ্বর,সর্দি-কাশির প্রাদুর্ভাব – চরম ঔষধ সংকট

এস,কে আলীম,কপিলমুনি খুলনাঃ করোনা প্রকোপে মানুষ যখন আতংকিত ও দিশেহারা ঠিক সে সময়ে আবার সর্দি,কাশি ইনফ্লুয়েঞ্জা ও টাইফয়েড হানা দিয়েছে। করোনা নাকি সাধারণ জ্বর এ নিয়ে বেশি আতংকিত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষদের। কপিলমুনি সহ পার্শ্ববর্তী প্রত্যন্ত এলাকায় প্রায় ঘরে ঘরে ইনফ্লুয়েঞ্জা, টাইফয়েড, জন্ডিস ও সর্দি-কাশির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। কপিলমুনি হাসপাতাল সহ স্থানীয় ডাক্তারদের চেম্বারে রোগীদের ব্যপক ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। কপিলমুনি শহরের ফার্মেসীগুলোতে সকাল থেকে রাত অবধি ডাক্তারদের প্রেসক্রিপশন নিয়ে ছুটছে রোগীরা। ভিড়ের কারণে প্রতিটি ফার্মেসীর সেলসম্যানরা ঔষধ বিক্রিতে হিমশিম খাচ্ছে। কপিলমুনি হাসপাতালের ডাক্তার মাহাবুবুর রহমান তুহিন জানান, হাসপাতালে প্রচন্ড রোগীর ভিড় এর মধ্যে প্রায় সত্তর শতাংশ রোগীই জ্বর সর্দি কাশিতে আক্রান্ত। তবে এর ভিতরে করোনা রোগীও রয়েছেন। যদিও এ হাসপাতালে করোনা শনাক্তের কোন ব্যবস্থা নেই তাই করোনার উপসর্গ দেখে বহু রোগীদের পাইকগাছা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। এ হাসপাতালের সাবেক মেডিকেল অফিসার ডাঃ জিষ্নুপদ মূখার্জী বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এবছর রোগীদের সংখ্যা অনেক। আর এসব রোগীদের মধ্যে বেশি সংখ্যক রোগী করোনায় আক্রান্ত বলে তিনি জানান। তিনি আরও জানান,বছরের এই মৌসুমে মানুষের জ্বর, সর্দি, কাশি বেশি হয় তবে এবছর এই সংখ্যা আশংকাজনক। ডাঃ জি, এম আজমল হোসেন বলেন, জ্বর, সর্দি- কাশি রোগীর আধিক্য পূর্বে কখনো দেখিনি। এদিকে করোনা সহ ইফ্লুয়েঞ্জা, টাইফয়েড ও সর্দি-কাশির জন্যে উপাদেয় ঔষধ নাপা ট্যাবলেট, নাপা এক্সট্রা,নাপা এক্সটেন,ও নাপা সিরাপ কপিলমুনিতে মিলছেনা। কপিলমুনির ৪০ টি ফার্মেসীতে প্যারাসিটামল গ্রুপের এ ঔষধ গুলো পাওয়া যাচ্ছেনা। এতে নাকাল হচ্ছে রোগীরা। ঔষধ ব্যাবসায়ী বিকাশ নন্দী ও নিত্যানন্দ বলেন, কোম্পানীর সরবরাহ নেই তাই গত কয়েক দিন ধরে এই ঔষধ গুলোর চরম সংকট দেখা দিয়েছে। এসব ঔষধ না পাওয়ায় ডাক্তাররা বিকল্প হিসাবে এইস প্লাস,ফাস্ট প্লাস,রিনোভা,ও এসপা ট্যাবলেট দিচ্ছেন রোগীদের ব্যাবস্থা পত্রে। করোনা ও মৌসুমী জ্বরের প্রাদুর্ভাবের এই দুঃসময়ে প্যারাসিটামল গ্রুপের এই ঔষধ গুলো কপিলমুনিতে সরবরাহ নিশ্চিতকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঔষধ কোম্পানীকে আহবান জানিয়েছেন স্থানীয় ঔষধ ব্যাবসায়ীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *