শাহাদাত হোসেন।। সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নের বাঁশতলা বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কান্তা খালির খালটি গোবিন্দ কাটি সুইচগেট হতে কাকশিয়ালি নদীতে গিয়ে মিশেছে। এই খালে অবৈধভাবে বাশের পাটা ও জাল দিয়ে মাছ নিধন করছে এই খালের দুই সাইড দিয়ে বসবাসকারী স্থানীয় ব্যক্তিরা।
সরেজমিন গিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার কাকশিয়ালী নদীতে নেট জাল ও কান্তা খালির খালটি বেড়াখালি, ফতেপুর,সোনাতলা,বিষ্ণুপুর বাঁশদহ গোবিন্দকাটি পশ্চিম বিল,সহ অনেক গ্রামের ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে খালটি এই খালের দুই সাইডে দিয়ে বসবাসকারী স্থানীয় ব্যক্তিরা নিজেদের সীমানা ঘেঁষে বাশের পাঁটা দিয়ে মাছ নিধনের মেতে উঠেছে ও বর্ষার মৌসুমে পানি নিষ্কাশনের বাঁধা হচ্ছে আবার অনেকেই নেট জাল দিয়ে মাছ নিধন করছে প্রতিনিয়ত। এই সময় খালে জাল পেতে মাছ ধরছিল এক স্থানীয় ব্যক্তির কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিনিধিকে বলেন আমি এই খালে জাল ধরি বছরে স্থানীয় কিছু ব্যক্তিদের চাঁদা দিতে হয়। এইখালে যারা নেট জাল বাঁশের পাটা দিয়ে মাছ ধরে তাদের কেউ চাঁদা দিতে হয় শুনেছি।
উপজেলার সর্ববৃহৎ গোবরা খালি বিল সহ অন্যান্য বিলের সঙ্গে কান্তা খালি খালের সংযোগ স্থাপন করেছে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ কান্তা খালির খালটিতে দেশীয় প্রজাতির মাছের উৎস্য হিসেবে খ্যাত কান্তা খালির খাল। স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তিরা বিভিন্ন কৌশলে ডিমওয়ালা মাছ, ছোট আকৃতির মাছ নিধন করে আসছে। যার কারণে দেশীয় প্রজাতির চিংড়ি পুঁটি, স্বরপুঁটি, শোল, টেংরা , কৈ, গুইতে, সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ হারিয়ে যেতে বসেছে।এলাকার শতাধিক মৎস্যজীবির কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন সরকারি নির্দেশ অমান্য করে যাঁরা কান্তা খালির খালটি বাঁশের পাঁটা,নেট, জাল দিয়ে মাছ নিধন করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি যেনো এই খালটি সারা বছর উন্মুক্ত থাকে জনকল্যানে।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply