,

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ছয় প্রতিষ্ঠানকে ৪২ হাজার টাকা জরিমানা

মোঃ শাহজাহান বাশার,স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় দ্রব্যের মূল্য তালিকা না রাখা, নোংরা পরিবেশে খাদ্য সামগ্রী সংরক্ষণ ও উৎপাদনসহ নানা অনিয়মের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণপাড়া সদর বাজারে উপজেলা প্রশাসন ও জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় কনফেকশনারি, মুদি ও মিষ্টি দোকানসহ ছয় প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন অংকে ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং নোংরা পরিবেশে মিষ্টি সংরক্ষণের অপরাধে ২০ কেজি মিষ্টি জব্দ ও ধ্বংস করা হয়।

অভিযানে পৃথকভাবে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল ইসলাম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ ফারহানা পৃথা এবং জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আসাদুল ইসলাম। এছাড়া উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর পারভীন সুলতানা ও থানা পুলিশ একটি দল এবং গ্রাম পুলিশের সদস্যরা এ অভিযানে সহযোগিতা করেন।

প্রশাসন ও ও জেলা ভোক্তা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছ, অভিযানে ব্রাহ্মণপাড়া সদর বাজারের কনফেকশনারি দোকান ব্যবসায়ী সালাউদ্দিনকে ২ হাজার, মুদি দোকান ব্যবসায়ী কবির হোসেনকে ৫ হাজার, মিষ্টি দোকান ব্যবসায়ী নান্টু দাসকে ৭ হাজার ও মিষ্টি দোকান ব্যবসায়ী সুজনকে ১৫ হাজারসহ আরও দুই দোকানীকে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় সুজনের মিষ্টি দোকানে নোংরা পরিবেশে মিষ্টি সংরক্ষণ ও উৎপাদন করায় ২০ কেজি মিষ্টি জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল ইসলাম বলেন, নিয়মিত অভিযানের অংশ এটি। এধরণের অভিযান অব্যাহত আছে।
টি স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের উদ্যোগে পরিচালিত একটি কার্যক্রমের উদাহরণ। খাদ্য সামগ্রী সংরক্ষণ ও উৎপাদনে সঠিক নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি, কারণ এটি জনস্বাস্থ্যের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।

এই ধরনের অভিযান ব্যবসায়ীদের সতর্ক করার পাশাপাশি গ্রাহকদের স্বার্থ সংরক্ষণেও ভূমিকা রাখে। নিয়মিত অভিযান চালিয়ে অনিয়ম কমানোর পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা উচিত।

যেসব ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠান এ ধরনের অনিয়ম করছে, তাদের উচিত দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে এই সমস্যাগুলো সমাধান করা। তদ্ব্যতীত, ভোক্তা অধিকার রক্ষায় আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে বলে মনে করেন।

ভোক্তাদের করণীয়:এই ধরনের অভিযানের পর ভোক্তাদের কীভাবে সচেতন থাকতে হবে বা সঠিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করতে হবে সে সম্পর্কে নির্দেশনা যোগ করা।

দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা: নিয়মিত অভিযান ছাড়াও স্থানীয় প্রশাসন ও ভোক্তা অধিদপ্তরের এমন কার্যক্রম দীর্ঘমেয়াদে কিভাবে অনিয়ম কমাতে সাহায্য করবে সে বিষয়ে ব্যাখ্যা। প্রতিবেদনের সমাপ্তি: একটি উপসংহার দিয়ে প্রশাসনের সচেতনতামূলক ও শাস্তিমূলক পদক্ষেপকে ধন্যবাদ জানানো যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *