মাসুম বিল্লাহ,বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি: সূর্যের আলোকে সোলার প্যানেলে ধারণ করে রাতে ল্যাম্পপোস্টের (সড়কবাতি) মাধ্যেমে আলো দেওয়া হচ্ছে গ্রাম থেকে গ্রামে। সে বাতি এখন আলোর নিচে অন্ধকার। বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রামের গুরুত্বপূর্ন স্থানে স্থাপন করা সোলার প্যানেল ল্যাম্পপোস্টের বাতিগুলো অধিকাংশ এখন অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সরকারি বরাদ্ধের কোটি কোটি টাকার কাজ দায়সারাভাবে মেরামতের ৩ বছরের মেয়াদ থাকলেও হদিস মিলছে না ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের।
খোজ নিয়ে জানাগেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ঘরে ঘরে বিদুৎও বিদুৎ সাশ্রয়ের লক্ষে ২০১৭-২০১৮-১৯-২০ অর্থ বছরে ত্রাণ পুনর্বাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় টিআর, কাবিখা, ও বিশেষ বরাদ্ধের প্রকল্পের মাধ্যমে মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নসহ পৌরসভায় মসজিদ, মন্দির, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ রাস্তাঘাট, হাট বাজার ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে ১১শ’ টি সোলার সিস্টেম প্যানেল ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয়েছে। প্রতিটি ল্যামপোস্টের বরাদ্ধধরা হয়েছে ৫৬হাজার ৪শ’ ৯০ টাকা। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল ও ব্রীজ মাঠ পর্যায়ে এ কাজ করেছেন। প্রতিটি স্ট্রিট লাইট ৩ বছরের মেরামতের ওয়ারেন্টি থাকলেও অধিকাংশ সড়কবাতি এখন অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা তাদের নির্ধারিত কন্টাক নম্বরে ফোন দিলেও পাওয়া যাচ্ছে না তাদের।
সরেজমিনে বহরবুনিয়া ইউনিয়নের ফুলহাতা বাজার, ঘষিয়াখালী, এসবি বাজার, নিশানবাড়িয়ার গুলিশাখালী, গরুরহাট বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত¡র, মাঝিাড়ি স্থান, হোগলাবুনিয়ার, নাগেরহাট, লক্ষনের হাট, তেলিগাতির বাজার, কালুরবাজার, এতিমুল্লাহ, হরগাতি, উত্তর ঢুলিগাতি, পঞ্চকরণের পাচঁগাও বাজার, দেবরাজ, নতুন বাজার, উত্তর কুমারিয়াজোলা, সদর ইউনিয়নের বিশারীঘাটা বাজার, মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্ত¡র, বাদুরতলা, বারইখালীর শেখ পাড়া, ভরাঘাটা, তেতুঁলবাড়িয়া বাজারসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্নস্থানে বসানো ল্যাম্পপোস্টের লাইটগুলো এখন অকেজো, র্দীঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে।
এ সর্ম্পকে ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার, আব্দুর রহিম বাচ্চু, শফিকুর রহমান লাল, এইচএম মাহমুদ আলী, মোর্শেদা আক্তার, রিপন হোসেন তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরামুজ্জামানসহ একাধিক জনপ্রতিনিধিরা বলেন, সোলার প্যানেলে গুরুত্বপূর্ন এ ল্যাম্পপোস্টগুলো বসানোর ৫/৬ মাসের মধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে ফোন দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। কোন ব্যবস্থা হয়নি। ল্যাম্পপোস্টগুলো মেরামত করে পুর্নরায় চালু করার জোর দাবি জানান।
এ সর্ম্পকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান বলেন, সোলার প্যানেল বরাদ্ধ এখন আর নেই। ইতোপূর্বে দায়িত্বরত কর্মকর্তার সময়ে এ সড়ক বাতিগুলো বসানো হয়েছে। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের জামানত এখনও তাদের কাছে রয়েছে। খোজ খবর নিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ব্রীজ সোলার হোম সিস্ট্রেম রিজোনাল ম্যানেজার এমডি হাফিজুর রহমান বলেন, তারা ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে ৪শ’ এবং ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ৩৭৫টি সোলার ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ করেছেন এর পূর্বে বেঙ্গল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সোলারের কাজ করেছেন। অনেকটারই মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। বর্তমানে মেয়াদ থাকা কাজের ৪২টি লাইট মেরামতের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। লকডাউনের কারনে আসতে দেরি হচ্ছে।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply