এহসানুল হক রিপন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কয়েকটি উপজেলায় বাগানে রসে ভরা সবুজ মাল্টা ঝুলছে। এ যেন এক অরুপ প্রকৃতির খেলা। এতে করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। আনন্দে ভরে উঠছে তাদের মন। এর মধ্যে স্বাদ ও মানে অনন্য মাল্টার বাইরের অংশ গাঢ় সবুজ আর ভেতরটা মিষ্টি রসে ভরপুর।কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, জেলার কসবা, আখাউড়া ও বিজয়নগরের মাটি মাল্টা চাষের জন্য উত্তম। ফলন ও মুনাফা ভালো হওয়ায় প্রতি বছরই মাল্টার আবাদ বাড়ছে। তিন উপজেলার ১৩৫ হেক্টর জমিতে বারি-১ ও বারি-২ জাতের মাল্টার চাষ হয়েছে। গাছে গাছে ঝুলছে রসালো সবুজ মাল্টা। আর কদিন পরই পরিপক্ক হবে মাল্টাগুলো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ছয় থেকে সাত বছর ধরে জেলার তিন উপজেলায় মাল্টা চাষ হচ্ছে। স্বল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় প্রতি বছরই কৃষকরা সবুজ মাল্টা চাষে ঝুঁকছেন। কোনো ধরনের রাসায়নিক ছাড়া সবুজ রঙের মাল্টা স্বাদে ও মানে ভালো হওয়ায় বাজারে এর চাহিদাও বেশি। প্রতি কেজি সবুজ মাল্টা পাইকারদের কাছে ৮০ থেকে একশ টাকা দরে বিক্রি করেছেন কৃষকরা। অধিকাংশ পাইকার সরাসরি কৃষকের বাগান থেকে মাল্টা কিনছেন। পাইকারদের মাধ্যমেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাল্টা দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত হয় ।
মাল্টা চাষী শিপন মিয়া জানান, বাড়ির পাশে ৪০ শতাংশ জমিতে মাল্টা চাষ করেছেন তিনি। এবছর ফলন কিছুটা বেশি হয়েছে। অন্তত এক টন মাল্টা পাওয়া যাবে। যার বাজার মূল্য প্রায় দেড় লাখ টাকা হবে। পুরো বাগান পরিচর্যায় তার মাত্র ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান এই চাষী।
মাল্টা চাষী রফিক মিয়া বলেন, এবার তার জমিতে মাল্টার ফলন খুব ভালো হয়েছে। পাইকারদের কাছে পুরো বাগানটি সাড়ে ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। তারা সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করতে পারবে বলে জানান তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক রবিউল হক মজুমদার বলেন, এ বছর ২ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন ফলনের আশা করা হচ্ছে। কৃষি বিভাগ থেকে চাষীদের আবাদ কৌশল ও পোকা-মাকড় ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply