,

পাহাড়জুড়ে কুকি চিন আতঙ্ক, ঘরে ঘরে বিজিবির তল্লাশি

অগ্রদূত ডেস্কঃ বান্দরবানের পার্বত্য অঞ্চলজুড়ে এখন শুধু কুকি-চিন আতঙ্ক বিরাজ করছে। ব্যাংকে হামলা, অস্ত্র লুট ও অপহরণের ঘটনার পথ থেকেই এলাকাগুলোতে যৌথ বাহিনীর টহল, সব মিলিয়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বান্দরবানের উপজেলাগুলোতে। কুকি-চিন কাণ্ডে এ পর্যন্ত ছয়টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। তবে এখনো কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বৃহস্পতিবার থানছি থানায় হামলার সময় গোলাগুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে ওঠে রুমা ও থানচি উপজেলা। ওই সময় প্রাণভয়ে জঙ্গলে আশ্রয় নেয় প্রায় ৫০০ পরিবার। দুইদিন যাবত কোনো হামলার ঘটনা না থাকলেও এলাকা ছাড়তে শুরু করেছে অনেক ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তৈমুর হাসান খান ঢাকা টাইমসকে বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা কুকি-চিনের কাউকেই ধরতে পারিনি। আমরা তাদের গ্রেপ্তারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছি।

স্থানীয় পর্যায়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা স্থানীয়দের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি। কুকি-চিন সদস্যদের সন্ধানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছি। নিরাপত্তায় আমাদের ৫০-৬০ বিজিবি সদস্য কাজ করছে।

বান্দরবানের থানচি উপজেলার সদর ইউপি চেয়ারম্যান অং প্রু ম্রো ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘থানায় ও চেকপোস্টে গোলাগুলির পর এখন পর্যন্ত আর কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। কয়েকটি বাজারের দোকানিরা কুকি-চিনের ভয়ে তাদের মালামাল সরিয়ে নিয়েছেন। অনেক ব্যবসায়ী আতঙ্কে আছেন। আমার কাছে অনেকেই বারবার আসছেন। আমরা স্থানীয় পর্যায়ে সতর্ক রয়েছি। পুলিশ বিজিবিকে আমাদের নিরাপত্তা দিতে বলেছি।’

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, থানচি ও রুমা উপজেলার অনেক ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ কুকি-চিনের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। থানচির একাধিক জনপ্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেছে ঢাকা টাইমস। তারা জানিয়েছেন, উপজেলার বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় এলাকায় যানবাহন চলাচল কমে গেছে। অনেকেই নিরাপত্তার জন্য যার যার আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে যাচ্ছেন। কুকি-চিনের আতঙ্কে এই উপজেলার বেশিরভাগ মানুষ বান্দরবান জেলা সদরে যাচ্ছেন বলেও জানা গেছে।

তবে বান্দরবানের আলিকদম উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘বর্তমানে পুরো আলিকদমে কোনো ধরনের হামলা বা অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা নেই। এখানে শান্তি বিরাজ করছে। তবুও স্থানীয় প্রশাসনসহ আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। তবে থানচিতে গোলাগুলি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *