,

লোহাগড়ায় ঢাকা হাজী বিরিয়ানি হাউজের খাবার খেয়ে ১১জন অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি ৮,

মো:আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টা।।নড়াইল জেলার লোহাগড়া পৌর এলাকার লোহাগড়া বাজারের স্বর্ণপটি রোডে সাবেক সন্ধ্যা সিনেমা হলের পাশে অবস্থিত ঢাকা হাজী বিরিয়ানি হাউজ।

গত ২৯/১১/ বুধবার, উক্ত বিরিয়ানি হাউজ থেকে বিরিয়ানি ক্রয় করে নিয়ে যায় উপজেলার ধোলইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শেখ আসকাত হোসেন।

এরপরে ওই বিরিয়ানি খেয়ে একে একে শিক্ষক, শিক্ষিকা,ছাত্র,শিশু সহ মোট ১১ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন ও তাদের ৮, জন কে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এবং বাকী ৩ জন অন্যান্য চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা যায়।

লোহাগড়া পৌর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে ঢাকা হাজী বিরিয়ানি হাউজ, পুরাতন ঢাকার বিরিয়ানি হাউজ,ঢাকা কাচ্চি বাড়ি,( ঢাকা ও হাজী ) এই ২ টি কথা কে পুঁজি করে সাইন বোর্ড টানিয়ে গড়ে উঠেছে অগণিত বিরিয়ানি হাউজ, এসকল অনেক দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশন করে হাতিয়ে নিচ্ছে বাড়তি অর্থ।ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের।

ভুক্তভোগী শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রদের বক্তব্যে জানা যায়, গত বুধবার লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের সামনে আওয়ামী লীগের একটি বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়,অনুষ্ঠান শেষে লোহাগড়া বাজারে অবস্থিত ঢাকা হাজী বিরিয়ানি হাউজ থেকে বিরিয়ানি ক্রয় করে নিয়ে যায় সহকারী শিক্ষক শেখ আসকাত হোসেন ওই বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ হয়, ধোলইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালমা সুলতানা ও তার ছেলে ইব্রাহীম (৮) সহকারী শিক্ষক রেবেকা সুলতানা ও তার ছেলে সৌরভ (১৪) সহকারী শিক্ষক ইকলাছুর রহমান ও তার ছেলে নূর হাসান (জয়) (১৩) সহকারী শিক্ষক শেখ আসকাত হোসেন ও তার ফ্যামিলির ৩ জন শিশু সহ মোট ১১ জন।

এ ঘটনায় অসুস্থ ভুক্তভোগী শিক্ষক-শিক্ষিকা ও আহত ব্যক্তিরা বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে এনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন,

এবিষয়ে ঢাকা বিরিয়ানি হাউজ এর দায়িত্বে থাকা মাদারীপুরের শাহিন এর সাথে কথা হলে তিনি বিভিন্ন মানুষের পরিচয় দিতে থাকে এবং বলেন একজন বড় ভাই থেকে এঘটনা মীমাংসা করে দিয়েছে, কিন্তু ভুক্তভোগীরা দাবি করছেন তাদের শাস্তি হয় নাই কোনো মিমাংসা পরবর্তীতে দোকানদার আরেকজনকে মুঠোফোনে ধরিয়ে দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাই,

এবিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর,এম,ও ডা: আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন হাসপাতাল সহ আমার কাছে একজন রোগী এসেছিল, ওই রোগীরা ফুড পয়জেন্টের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে,

এবিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আজগার আলী সাংবাদিকদের জানান বিষয়টি খতিয়ে দেখে ওই দোকানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *